বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ভালো করার ফর্মূলা: গণিতের বিষয়বলি
বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ভালো করার ফর্মূলা |
৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা এক মাস পিছিয়ে ৬ মার্চ নির্ধারিত হয়েছে। এতে পরীক্ষার্থীরা আরও এক মাস অতিরিক্ত পড়াশোনা করে নিজেকে তৈরি করে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার ফর্মূলা রইল। এই মুহূর্তে নিজেকে তৈরি করে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট সময়। তবে এখন আর সময় নষ্ট করা যাবে না। পুরোদমে চালিয়ে যান আপনার সর্বাত্মক প্রস্তুতি। এবার প্রিলিমিনারির জন্য যেসব বিষয় সিলেবাসে প্রকাশ করা হয়েছে, তা হচ্ছে- বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, English Language & Literature, বাংলাদেশ বিষয়াবলি, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, ভূগোল ( বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সাধারণ বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি, গানিতিক যুক্তি, মানসিক দক্ষতা, নৈতিক মূল্যবোধ ও সু-শাসন।
খুব ভাল পরীক্ষা দিয়েও কাঙ্খিত ক্যাডার না পাওয়ার একটি প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায় গনিতে ভাল করতে না পারা। আর ৩৮ এর লিখিত প্রশ্ন দেখে এটাই মনে হয়েছে যে ম্যাথ প্রশ্নে হয়ত আরো বৈচিত্র্য আসতে পারে। আর তাই প্রস্তুতি নিতে হবে আরো জোরালো ভাবেই।
গতানুগতিকভাবে আপনাকে ক্লাস ৭,৮,৯ এর ম্যাথ এর উপর ভাল দখল তো থাকতে হবেই। এর কোন বিকল্প আমি দেখি না। পারমুটেশন, কম্বিনেশন সম্পর্কিত সমস্যাগুলো ভালো করে জানতে হবে। জ্যামিতির জন্য ৯ম শ্রেণীর বই থেকে উপপাদ্যগুলো পড়তে হবে।
তবে অনুশীলনী থেকে প্রশ্ন হতে পারে তাই গুরুত্বপূর্ণ অনুশীলনী সংক্রান্ত সমস্যাগুলো সমাধান করতে হবে। এগুলো ভাল করে দেখবেন যেহেতু বিসিএস এর প্রশ্নে প্রতিবছর কিছু ভেরিয়েশন দেখা যাচ্ছে। যেমন ৩৮ এ লিখিত তে একটা প্রশ্ন ছিল কো অরডিনেট থেকে। তাহলে আপনি এখন কি করবেন?
আমি মনে করি, এই ক্ষেত্রে যা করতে হবে তা হল সবার চাইতে একটু এগিয়ে থাকা। যেমন ধরুন, আপনি প্রফিট এন্ড লস পড়ছেন, এবার খেয়াল করুন, বাজারের সব বইয়ে মোটামুটি এই ধরনের ম্যাথ আছে। তাই আপনি চাইলে একটু ভিন্নতার জন্য কয়েকটা বই হাতে নিয়ে এই ধরনের সমস্যাগুলো দেখতে পারেন। এতে করে আপনার প্রস্তুতিতে অনেক ভিন্নতা আসবে।বিসিএসসহ অন্যান্য চাকুরির পরীক্ষায়ও কাজে আসবে।
কিংবা আপনি ধরুন, জ্যামিতি পড়ছেন, দেখবেন, যে প্রিলির জ্যামিতি গুলো কেবল বেসিক ভাল থাকলেই পারা যায়। খুব একটা কঠিন বিষয় থেকে প্রশ্ন হয় তা কিন্তু নয়। আবার যদি আপনি লিখিত এক্সামের দিকে তাকান, দেখবেন, বৃত্ত থেকে একটা প্রশ্ন প্রায়ই আসে। হতে পারে, আপনি জ্যামিতিতে একটু দুর্বল। তাহলে সব যদি না পড়তে পারেন, তবে চাইলে কেবল বৃত্তের উপপাদ্যগুলো ভাল করে পড়ে নিন। তাহলেই তো কিছুটা ব্যাক আপ পেয়ে গেলেন। এভাবেই আপনাকে আপনার দুর্বলতা গুলো খুঁজে খুঁজে কমিয়ে নিতে হবে।
অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায়, যে বীজগনিতের প্রতি একটা ভয় থেকেই যায়। কিন্তু খেয়াল করলে দেখবেন, যে বীজগণিত থেকে প্রশ্ন আসবে, তা কিন্তু আমরা ৮ম বা ৯ম শ্রেণীর বইতে পড়ে এসেছি। তাই এড়িয়ে না গিয়ে একটু কষ্ট করে পড়ে নিলেই হচ্ছে।
আবার আপনি যদি ত্রিকোণমিতি এর দিকে তাকান, দেখবেন, প্রতিবছর এই জায়গাতে প্রশ্নে ভেরিয়েশন হচ্ছে যদিও সমাধানগুলো খুব সহজ কিন্তু এক্সাম হলে ধরতে পারাটা খুব কঠিন হয়ে যায়। তাহলে কি করতে পারবেন? আপনি ৯ম শ্রেণীর বই নিন। এখানে যা আছে তাই ভালো করে পড়ুন। এতে বেসিক ভালো হবে এবং এক্সাম হলে সমাধান করাটা সহজ হবে।
দেখুন, প্রফিট এন্ড লস, ধারা, শতকরা থেকে যে ম্যাথ গুলো আসে, এগুলো কিন্তু খুব একটা কঠিন হয় না। তাই এগুলো কোনভাবেই মিস করা যাবে না। তাই গণিত নিয়ে কাজ করার আগে, আপনি গণিতের কোন অংশ ভাল পারেন, তা জেনে নিন, এবং পরিকল্পনা সাজিয়ে নিন।
গনিতের জন্য “আমাকে পারতেই হবে” এই কথাটা মনে রাখাটা খুব জরুরী। কোনভাবেই হাল ছাড়া যাবে না। আরেকটি কথা, যাই পড়বেন, তা একেবারে বেসিক থেকে পড়বেন।
গণিতের প্রস্তুতি নিয়ে ধারাবাহিকভাবে খুব শীঘ্রই লিখব। লেখাগুলোতে বিস্তারিতভাবে সবকিছু দেয়ার চেষ্টা করব।
কোন মন্তব্য নেই
Thanks for your comment