গ্রামীণফোনের সিম বিক্রি বন্ধ করেছে বিটিআরসি
কিন্তু কেউ কি এই সমস্যার মূল উদঘাটন করেছেন? জিপি নেটওয়ার্ক ধ্বংসস্থুপে পরিণত হওয়ার আসল রহস্য কি?
বর্তমান জিপি ম্যানেজম্যান্ট গ্রামীণফোন কে একটি প্রযুক্তি কোম্পানি এটি বিশ্বাস করে না। বর্তমান সিইও দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই কারিগরি বিষয় সমূহ গুরুত্বহীন হতে থাকে এবং নেটওয়ার্ক ধ্বংসস্থুপে পরিণত করতে সকল প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করেছে। এসবের উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো:-
১. প্রযুক্তি বিষয়ে মানবসম্পদ একদিনে তৈরি হয়না। বর্তমানে জিপি প্রযুক্তি বিভাগে দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মী নেই । যাদের শ্রম ও ঘামের উপর নির্ভর করে গ্রামীণফোন নাম্বার ওয়ান কোম্পানিতে পরিণত হয়েছিল তাদের কে VRS (Voluntary retirement Scheme) এর নামে FRS (Force retirement Scheme),
MRS(Mandatory retirement Scheme) বেআইনি ভাবে FRS/MRS নিতে বাধ্য করেছে। যারা FRS/MRS নিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের কে ছাঁটাই করা হয়েছে বেআইনি ও অবৈধ ভাবে। দক্ষ জনশক্তির অভাবের কারণেই নেটওয়ার্ক সমস্যার মূল।
২. যেহেতু বর্তমান ম্যানেজম্যান্ট প্রযুক্তিগত বিষয় গুলো গুরুত্ব দেয়নি, সেহেতু প্রযুক্তিগত যে সকল বিষয় সমূহ ধারাবাহিক ভাবে উন্নয়ন করা দরকার ছিল সে সকল বিষয়ে কাজ করেনি এবং এসব বিষয়ের বিপরীতে বার্ষিক প্রযুক্তি উন্নয়ন ও নেটওয়ার্ক রক্ষণাবেক্ষণ বাজেট আশঙ্কা জনক হারে কমিয়ে দিয়েছে শুধু মাত্র অতিরিক্ত মুনাফা করার লোভে।
৩.শুধু একটি বিষয় উল্লেখ করছি, ২০১৯ সালে ট্রান্সমিশন ওভার লোডেড সাইট ছিল মাত্র ছয়-সাতটি। বর্তমানে ট্রান্সমিশন ওভার লোডেড সাইট সংখ্যা আট হাজারেরও বেশি। এই অবস্থা বিদ্যমান থাকলে "৩জি/৪জি" কোন সার্ভিসের সঠিক মান নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
৪. মান সম্মত রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য দক্ষ অভিজ্ঞ কর্মীর কোন বিকল্প নেই। জিপি জম্মলগ্ন থেকে নিজস্ব দক্ষ অভিজ্ঞ জনবল দিয়ে নেটওয়ার্ক রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছিলো। বর্তমানে চুক্তিভিত্তিক অনভিজ্ঞ ৩য় পক্ষ ভেন্ডরের জনবল দিয়ে নেটওয়ার্কের মান সম্মত সার্ভিস নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
৫. বর্তমান গ্রামীণফোন ম্যানেজম্যান্ট বিশ্বাসই করে না নেটওয়ার্কের সমস্যা আছে, গ্রাহক ভোগান্তিতে আছে। উনারা শুধু সেলস নিয়ে ব্যস্ত, উনারা মনে করেন এটি একটি সেলস কোম্পানি এবং সেলস ঠিক তো সব ঠিক।
৬. বর্তমান গ্রামীণফোন ম্যানেজম্যান্টের বেশীরভাগ লোক বিড়ি সিগারেট বিক্রি কোম্পানির সাথে যুক্ত ছিলেন। উনাদের দিয়ে নেটওয়ার্ক ও প্রযুক্তি কোম্পানি পরিচালনার ব্যার্থতার
কারনে বর্তমান গ্রাহক ভোগান্তি দিন দিন চরম আকার ধারণ
করছে এবং সময় উপযোগী স্ট্যাটেজিক প্লান বাস্তবায়নের ব্যার্থতার কারনে নেটওয়ার্ক সমস্যা/ত্রুটি প্রকট আকার ধারণ করছে।
বর্তমানে বিদ্যুৎ নাই ৩জি/৪জি নেটওয়ার্ক নাই কেন?
** প্রত্যেকটা টাওয়ারে বিদ্যুৎ না থাকলে ব্যাটারির চার্জে নেটওয়ার্ক যন্ত্রপাতি সচল রাখে, তাই নেটওয়ার্ক সচল থাকতো, বর্তমানে এই বেটারীগুলো ৩য় পক্ষ ভেন্ডর দ্বারা পরিচালনার কারণে ব্যাটারি চুরি হয়ে যাচ্ছে,
তাই বিদ্যুৎ নাই ৩জি/৪জি নেটওয়ার্কও নাই। পূর্বে এই বেটারীগুলো জিপি নিজস্ব কর্মীদ্বারা পরিচালনা করতো, তাই চুরি রোধ করা গেছে এবং গ্রাহক পেয়েছিলো কাঙ্খিত সেবা।
তরঙ্গ কিনলেই কি সমাধান আসে! এই তরঙ্গ পরিচালনা ও নেটওয়ার্ক এর যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ এর জন্য প্রয়োজন দক্ষ প্রকৌশলী, যাহা বর্তমানে গ্রামীণফোনের নেই। #যতদিনএইদক্ষপ্রকৌশলীগণকাজকরেছিলোততদিন #গ্রামীণফোনওকলাটেস্টে১মস্থানেইছিলো। এখন কথা হলো যারা ১৫-২০ বৎসর যাবত কাজ করেছিলো তারা বীজ থেকে চারাগাছ, সেখান থেকে গাছ ও ফল, এখন যারা কাজ করছে তারা হলো বীজ, এখন সবাই বুঝতেই পারছেন ফলদিতে কত সময় লাগবে?
গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক ও ডাটা সেন্টার রক্ষণাবেক্ষণে কর্মরত দক্ষ ও অভিজ্ঞ ১৫৯ জন কর্মীকে গত ২০শে জুন ২০২১ অবৈধভাবে ছাঁটাই করে
সস্তায় ৩য় পক্ষ ভেন্ডরের অদক্ষ ও অনভিজ্ঞ লোকবল দ্বারা নেটওয়ার্ক মেইনটেনেন্স করার কারণে গ্রামীণফোনের কারিগরি ত্রুটি এখন নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে সাড়ে ৮ কোটি গ্রাহক যথাযথ নেটওয়ার্ক সেবা পাচ্ছে না এবং নানান ভোগান্তি ও আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। ইতিপূর্বে আমারা শ্রম অধিদপ্তর, কলকারখানা
অধিদপ্তর
ও বিটিআরসি চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি দিয়ে বিষয়টি অবহিত করি শ্রমিক ছাঁটাই এর ফলে নেটওয়ার্ক সেবার মান বিনষ্ট হচ্ছে। #জিপিগতবছর৩হাজার৩শতকোটিটাকানীটমুনাফাকরেও #স্বল্পবেতনের১৫৯জনদক্ষকর্মীকেকেনছাঁটাইকরতেহলো?
এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায়?
#গ্রামীণফোনতার১৫৯জনছাটাইকৃতদক্ষওঅভিজ্ঞকর্মীদেরকাজেপুনর্বহালকরলে #যথাযথনেটওয়ার্কসেবাদেয়াসম্ভবএবংগ্রাহকসেবারমানবৃদ্ধিপাবে।
#BTRC has stopped selling Grameenphone SIMs
কোন মন্তব্য নেই
Thanks for your comment